লোকে লোকারণ্য বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছে হাজারো ভ্রমণপিপাসু। তাদের পদচারণায় মুখর সাগরতীর। আগত পর্যটকরাও বলছেন; সাগরজলে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন তারা। আর মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকের ভিড় পর্যটন ব্যবসায় চাঙাভাব ফিরছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন; সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীত মৌসুম। হাল্কা শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে সৈকত শহর কক্সবাজারে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা, বালিয়াড়ির পেরিয়ে সাগরতীর; দলে দলে সাগরতীরে নামছে মানুষ। কেউ নামছে পরিবার-পরিজন নিয়ে; আবার কেউ কেউ নামছে প্রিয়জনকে সঙ্গে করে। সবার উদ্দেশ্যে সাগরজলে গা ভাসানো। সৈকতের সবকটি পয়েন্টের একই দৃশ্য।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক ইয়াছমিন আকতার বলেন, সমুদ্রে আসতে ভাল লাগে সব সময়। তাই যান্ত্রিকতার শহর ছেড়ে সাগরের নোনাজলে ছুটে আসা। এখানে আসলেই মনটা ভাল হয়ে যায়।
সিঙ্গাপুর থেকে আসা পর্যটক ওয়াফসিয়া বলেন, “আমি বাংলাদেশি, স্বামী সিঙ্গাপুরের। বসবাস করি সিঙ্গাপুরে। এখন স্বামী ও বাচ্চাদের নিয়ে দেশে আসার পর কক্সবাজারে ভ্রমণে আসলাম। স্বামী ও বাচ্চারা খুবই মজা পাচ্ছে সৈকতে। তবে সৈকতে মানুষের সমাগম কম হলে ভাল হতো।”
ভ্রমণে আসা রিয়াদ ও দিয়া দম্পতির ৭ বছরের কন্যা শিশু রাইছা বলেন, “সমুদ্রে এসে পানি নিয়ে খেলছি। খুবই মজা পাচ্ছি। পাশাপাশি সমুদ্রের বালি নিয়েও অনেকক্ষণ খেলা করেছি। খুবই মজা হচ্ছে কক্সবাজারে।”
পর্যটন মৌসুম শুরুতেই বাড়ছে পর্যটকের চাপ। বেচা-বিক্রিও বেশ ভাল হচ্ছে সৈকতের পাড়ের দোকানগুলোতে। তবে আগামীতে ব্যবসা আরও ভাল হবে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ব্যবসায়ী আয়াছ বলেন, পর্যটন মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকের আগমন বাড়ছে। এতে আমাদের বেচাবিক্রিও ভাল হচ্ছে। আশা করি, সামনের দিনগুলোতে বেচাবিক্রি ভাল হবে।
আরেক ব্যবসায়ী সৈকত বলেন, প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেচাবিক্রি হচ্ছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে বেচাবিক্রি ৫০ থেকে ৬০ হাজার চলে যাচ্ছে। এখন খুবই খুশি, সংসারটা ভালভাবে চলছে।
আর হোটেল কর্তৃপক্ষ বলছে; সবাই যেহেতু ভ্যাকসিনের আওতায় আসছে; সেহেতু সামনের মাসগুলোতে পর্যটকের আগমন বাড়বে।
হোটেল কক্স-টুডে’র কর্মকর্তা আবু তালেব শাহ বলেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে সকলকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনছে। তাই ধীরে ধীরে কক্সবাজারেও পর্যটকের আমগন বাড়ছে। তবে ডিসেম্বরে বেশ ভাল বুকিং পাব বলে আশা করছি।
গেল ১৬ নভেম্বর মাত্র ১টি জাহাজ দিয়ে চালু হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহি জাহাজ। আর শনিবার হতে এই নৌরুটে চলাচল করবে আরও ৪টি পর্যটকবাহি জাহাজ
পাঠকের মতামত